অনলাইন ইনকাম এর শুরু থেকে বর্তমান।
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। মানুষের প্রতিটি মূহুর্ত প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।এই প্রযুক্তির ফলেই মানুষ খুব সহজেই এক দেশ থেকে আরেক দেশে যোগাযোগ করছে খুব সহজেই। শুধু যোগাযোগ করেই মানুষ থেমে থাকে নাই বরং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে আয় করছে খুব সহজেই যা অনলাইন ইনকাম নামে পরিচিত।

সূচনা
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। মানুষের প্রতিটি মূহুর্ত প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।এই প্রযুক্তির ফলেই মানুষ খুব সহজেই এক দেশ থেকে আরেক দেশে যোগাযোগ করছে খুব সহজেই। শুধু যোগাযোগ করেই মানুষ থেমে থাকে নাই বরং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে আয় করছে খুব সহজেই যা অনলাইন ইনকাম নামে পরিচিত।
এখন কেউ চাইলেই ঘরে বসে একটা ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারে।যদি আপনি অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে জানতে চান তবে আপনার জন্যই লেখা এই আর্টিকেলটি।
আপনি যদি অনলাইন ইনকাম সেক্টরে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক কিছু জানতে সাহায্য করবে। তাহলে আর দেরি কেন? আসুন শুরু করি।
অনলাইন ইনকাম ও বাংলাদেশ
অনলাইনে ইনকাম করা আজ থেকে ১০ বছর আগে ছিল কল্পনার মত। যদিও উন্নত দেশগুলো তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিছু আয় করতে পারত তবে বেশিরভাগ দেশেই এটি কাল্পনার মত ছিল। কিন্তু বর্তমানে সময় পাল্টেছে।সপ্ন আজ সত্যি হয়ে ধরা দিয়েছে।
অনলাইন থেকে মানুষ আজ সত্যিই আয় করছে এবং সচ্ছলতা আনছে পরিবারে।
তবে অন্য সব কাজের মত এখানেও আপনাকে সময় দিতে হবে।
অনলাইনে আয়ের বিভিন্ন উপায়ের মধ্যে আপনাকে আপনার পছন্দের বিষয়টি বেছে নিতে হবে ঐ বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এই কাজটি শেখার জন্য আপনাকে বাইরে যেতে হবে না। ঘরে বসেই শিখতে পারবেন।
বর্তমান সরকারের নিরালশ প্রচেষ্টায় এখন শুধুমাত্র একটি স্মার্ট ডিভাইসের মাধ্যমে আপনি সহজেই কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে কাজ করতে পারবেন দেশ ও বিদেশে।
সত্যি বলতে কি স্বাধীনভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার এমন সুযোগ খুব কমই পাওয়া যায়।
অনলাইন ইনকাম করার আর একটা বড় সুবিধা হলো আপনি চাইলে আপনার পড়াশোনা বা অন্য কোনো কাজের পাশাপাশি এই কাজটি করতে পারবেন। প্রতিদিন সামান্য কিছু সময় ব্যয় করে ভালো একটা আয় করা সম্ভব।
আসুন আমরা অনলাইন ইনকামের সোর্স গুলো আলোচনা করি সংক্ষিপ্ত আকারে। পরবর্তীতে প্রতিটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব অন্য কোন আর্টিকেলে।
১ - ব্লগিং
ব্লগিং করে আয় অনেক পুরাতন ও জনপ্রিয় পদ্ধতি অনলাইন আয়ের ক্ষেত্রে।
লেখালেখি করতে অনেকেই পছন্দ করে।যদি এই লেখা দিয়েই আয় করা যায় তবে মন্দ কি?
আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ আছে সেই বিষয় নিয়ে আপনি ব্লগ লিখতে পারেন। রান্না, খেলাধুলা,ভ্রমন,আইন, টেকনোলজি, টিউটোরিয়াল এমন অনেক বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখে একটা ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
গুগলে সার্চ দিলে দেশ বিদেশের অনেক ব্লগিং সাইট পাওয়া যায়। তাছাড়া নিজে একটি ব্লগিং সাইট বানিয়ে নিতে পারেন। ফ্রি বা কিছু টাকা খরচ করে আপনি একটি ব্লগিং সাইট তৈরি করে নিতে পারেন । সবচেয়ে বড় কথা হল আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েও এই কাজটি করতে পারেন। ব্লগিং করে আয় করার জন্য বিস্তারিত অন্য কোনো দিন আলোচনা করব। আসুন আমরা অনলাইন ইনকামের অন্যান্য উপায় গুলো দেখে নেই।
২- ইউটিউবের মাধ্যমে আয়
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে বর্তমানে অনেক অর্থ খুব সহজেই আয় করা যায়। ইউটিউব আপনার চ্যানেল বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে আয় করে থাকে এবং আয় করা অর্থের কিছু অংশ আপনাকে দেয়।
ইউটিউব থেকে আয় করতে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইব ও ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম প্রয়োজন।যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল এই শর্ত পূরণ করে তবেই ইউটিউব আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করবে।
বাংলাদেশে অনেক বড়বড় ইউটিউবার আছে।যাদের আয় মাসে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আপনার যে বিষয় পছন্দ সে বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন। এজন্য আপনার হাতের স্মার্ট ফোন যথেষ্ট।তবে প্রফেশনাল ভাবে যদি ইউটিউব থেকে আয় করতে চান তাহলে ভিডিও ও অডিও ইডিট করা শিখতে হবে ভালো করে কারন ভালো মানের একটি ভিডিওতে ভিউ বেশি হয়।
আর ভিডিও ও অডিও ইডিট করা আপনাকে বাইরে যেয়ে টাকা খরচ করে শিখতে হবে না। ইউটিউবে এমন অনেক ভিডিও আছে যেগুলো দেখে আপনি ফ্রীতে শিখতে পারবেন।
তাছাড়া স্পন্সারের মাধ্যমে আপনি সহজেই আয় করতে পারেন।
আপনার কন্টেন্টটি যদি ভালো হয় তবে আপনি সহজেই অনেক ভিউ পাবেন ও জনপ্রিয়তা পাবেন বোনাস হিসেবে।
৩- ভিডিও দেখে আয়
ভিডিও দেখে ইনকামের বিষয়টি হয়ত অনেকেই জানেন না। কিন্তু সত্যি কথা বলতে ভিডিও দেখে ইনকাম সত্যি সম্ভব।
গুগলে সার্চ দিয়ে এমন অনেক সাইট পাওয়া যায় যেখানে ভিডিও দেখে আয় করা যায় তবে অনেক স্ক্যাম বা ভূয়া সাইটও আছে।তাই অবশ্যই সচেতন হয়ে সাইট বাছাই করতে হবে।
৪- ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়।
আপনি সহজেই ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট শিখতে আয় করতে পারেন।একটা ভালো ওয়েব সাইটের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই বিষয়ে ইউটিউব থেকে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিডিও পাবেন যেগুলো দেখে আপনি ফ্রীতে শিখতে পারবেন।
তাছাড়া অনলাইনে সার্ভে, ছবি বিক্রি,পড়িয়ে,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করা যায় খুব সহজেই অনলাইন থেকে ।