নিজের ইউটিউব ভিডিও বারবার দেখলে কি কি হবে?
আচ্ছা এমন কি কেউ আছেন যিনি বলতে পারেন নিজের ভিডিও কখনো নিজের চ্যানেল থেকে দেখেন নাই। হয়তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উত্তর টি হবে হ্যা।কারন আমার সকলেই প্রথম অবস্থায় এই ভুলটা করে থাকি। আমরা যখন প্রথম অবস্থায় ইউটিউবে কাজ শুরু করি তখন এত বেশি গাইডলাইন পাইনা। সেই সময় আমরা আমাদের চ্যানেলের ভিউ, ওয়াচ টাইম বাড়ানোর জন্য আমরা আমাদের নিজেদের বিভিন্ন ডিভাইস থেকে ভিডিও দেখি।

আচ্ছা এমন কি কেউ আছেন যিনি বলতে পারেন নিজের ভিডিও কখনো নিজের চ্যানেল থেকে দেখেন নাই। হয়তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উত্তর টি হবে হ্যা।কারন আমার সকলেই প্রথম অবস্থায় এই ভুলটা করে থাকি। আমরা যখন প্রথম অবস্থায় ইউটিউবে কাজ শুরু করি তখন এত বেশি গাইডলাইন পাইনা। সেই সময় আমরা আমাদের চ্যানেলের ভিউ, ওয়াচ টাইম বাড়ানোর জন্য আমরা আমাদের নিজেদের বিভিন্ন ডিভাইস থেকে ভিডিও দেখি। কখন কখন আবার মাল্টিপল ট্যাব ওপেন করে দেখি যাতে কিছু ওয়াচ টাইম বেড়ে যায়। এতে করে আমরা আমাদের নিজেদের ক্ষতি করছি। অনেকটা নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারার মত।অনেকে আবার আরোও একধাপ এগিয়ে।তারা মনিটাইজেশন পাওয়ার পরও এক্সট্রা ইনকাম করার জন্য অর্থাৎ আয় বাড়াতে নিজেদের ভিডিও বারবার দেখে।এটা আরও বেশি মারাত্মক। আরো বেশি ক্ষতিকর।এটা শুধু পায়ে কুড়াল মারা বলা যায় না বরং বলতে হবে কুড়ালে যেয়ে পা মারা।
এই আর্টিকেলে আমি এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনাদের বুঝিয়ে দিব এমন করলে আপনার চ্যানেলের কি কি ক্ষতি হতে পারে।
আর্টিকেলটি শুরু করার আগে প্রথমেই বলে রাখি এই আর্টিকেলে আমি যে ইনফরমেশন দিব সেগুলো আমার ব্যক্তিগত মতামত নয়। ইউটিউব তাদের পলিসিতে যা লেখা আছে আমি তাই তুলে ধরছি ।আপনারা চাইলে পলিসিটা পড়ে আসতে পারেন।
* আপনার ভিডিও আপনি বারবার দেখলে প্রথম মে সমস্যা হবে তা হলো ভিডিও টি ইউটিউব লো কোয়ালিটি প্লেব্যাকের আওতায় রাখবে। ইউটিউব তাদের পলিসিতে স্পষ্ট বলে দিয়েছে আপনার ভিডিওটি যদি আপনি বারবার দেখেন তাহলে আপনার ভিডিওটি লো কোয়ালিটি প্লেব্যাকের আওতায় রাখা হবে।আপনারা চাইলে ইউটিউব পলিসি দেখে নিন।
আপনি যদি আপনার ভিডিওটি মাল্টিপল ডিভাইস থেকে যেমন ল্যাপটপ থেকে, কম্পিউটার থেকে, ফোন থেকে বারবার চালান অথবা একি ডিভাইসে যদি মাল্টিপোল ব্রাউজারে বারবার প্লে করেন তাহলে আপনার ভিডিও টি লো কোয়ালিটি প্লেব্যাকের আওতায় ইউটিউব রেখে দিবে।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কিভাবে? প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক।
ইউটিউব এটা কিভাবে বুঝতে পারবে যে একই ডিভাইস থেকে বার বার চালানো হচ্ছে বা এক ব্যক্তি বারবার দেখছে। ইউটিউব এটা এই জন্য বুঝতে পারবে কারণ ইউটিউব আপনার ডিভাইসের আইপি ট্রাক করে। ফলে আপনি বা আপনার পরিবারের সদস্য যদি একই আইপি থেকে বারবার দেখেন তাহলে ইউটিউব তা বুঝতে পারবে এবং আপনি যদি আপনার বন্ধুদের মাধ্যমে বারবার দেখেন তা হলেও ইউটিউব বুঝতে পারবে এটা একটি আইডি থেকে চালানো হচ্ছে।তখন ভিডিও কোয়ালিটি প্লেব্যাকের আওতায় ধরে নিবে।
ইউটিউব ধরে নিবে আপনার ভিডিওটি একদম লো-কোয়ালিটির যার কারণে কেউ আপনার ভিডিওটি দেখছে না এবং আপনি নিজেই আপনার ভিডিওতে বারবার দেখে ভিউ ওয়াচ টাইম বাড়াচ্ছেন।
* দ্বিতীয় যে ক্ষতিটা হবে সেটা হচ্ছে ইউটিউব আপনার চ্যানেলকে ফ্রিজ করে দিবে। মানে আপনার ভিডিওর ভিউজ দাঁড়িয়ে যাবে। মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে কিন্তু ভিউ আসবেনা। এমনকি ইউটিউব আপনার চ্যানেলকে বাতিল করে দিতেও পারে। বাতিল খুব কম ক্ষেত্রেই হয় কিন্তু যদি আপনার ভিউজ ফ্রিজ হয়ে যায়, ভিডিওটির ভিউ না বাড়ে তাহলে বাতিল করা আর না করা একই ব্যাপার। এই ফ্রিজ করা ব্যাপারটি কিন্তু আপনার একটি ভিডিওতে হবেনা বরং আপনি ওই চ্যানেলে যতগুলো ভিডিও আপলোড করবেন সবগুলোই ফ্রিজ করে দেয়া হবে। আপনি ভিডিওটি বারবার শেয়ার করবেন অনেক মানুষ দেখবে কিন্তূ ওই শেয়ারের ফলে যে কয়টা ভিউ আসবে তাই থাকবে। ইউটিউব আপনার ভিডিওটি কে নিজ থেকে প্রমোট করবে না বা সাজেস্টেড লিস্টি ফেলবে না। ইউটিউব যদি আপনার ভিডিও কে সাজেস্টেড লিস্টে না ফেলে তাহলে আপনার ভিডিও রেঙ্ক করবেনা। আপনার চ্যানেলে অনেক বেশি ভিউ আসবে না। তাই ভিউ ফ্রিজ করে দিলে বাতিল করা আর না করা সমান।
এই দুটো হল মেইন পয়েন্ট ,এদুটো হচ্ছে মেন ক্ষতি যা আপনার হতে পারে। এই সমস্যায় আমিও পড়েছি। আমার একটি পুরনো চ্যানেলে এই সমস্যা হয়েছিল। না বোঝার কারণে আমার চ্যানেলটি ফ্রিজ হয়ে গিয়েছিল। যেহেতু আমি একজন ভুক্তভোগী তাই আমি জিনিসটা জানি। আজ আমি আপনাদেরকে ও জানালাম যেন আপনারা এই ভুলটি আর না করেন। আপনি নিজে এই ভুলটি করবেন না এবং অন্য কাউকে করতে দিবেন না।
আর আপনি যদি ইতিমধ্যে ভুলটি করে ফেলেন তাহলে আপনি একটি কাজ করতে পারেন তা হচ্ছে ওই চ্যানেলে কাজ করা বন্ধ করে দিন। আমার মতে এটাই সব থেকে ভালো উপায়। কারণ এমনিতেও আপনি ওই চ্যানেলে অনেক ভালো কন্টেনের ভিডিও দিলেও ভিউ আসবে না।
আপনি সম্পূর্ণ নতুন একটি ইমেইল আইডি দিয়ে নতুন একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিন এবং ওই ইউটিউব চ্যানেলে আপনি নতুন করে আবার ভিডিও দিন ভাল কনটেন্ট দিয়ে। এবং সাথে সাথে আপনি এক আইপি থেকে বারবার দেখবেন না। তাহলেই দেখবেন আপনার ভিডিওতে অনেক ভিউ আসছে এবং আপনার চ্যানেল তাড়াতাড়ি গ্রো করছে।
আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র নতুনদের জন্য তা নয় বরং অনেক পুরনো ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার পরেও বেশি লাভের আশায় ভিউ বাড়ানোর জন্য এ কাজটি করে থাকে। তাই এই গাইডলাইন গুলো শুধু নতুনদের জন্য নয় পুরনোদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। আজ এ পর্যন্তই। নতুন কোন টপিক নিয়ে আগামীতে হাজির হব।
ধন্যবাদ।