মারাত্মক ৫ টি ভুল যার কারনে আপনার ইউটিউব চ্যানেল সাসপেন্ড হতে পারে।

সুপ্রিয় দর্শক আজকে আমি এ আর্টিকেলটি লিখছি কেন জানেন? কারণ লাস্ট 2 দিন আগে আমার একটি ভিডিওর উপরে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক এসেছে। আমি যখন আমার মেইল চেক করলাম কেন স্ট্রাইক এসেছে তখন আমি পুরোপুরি অবাক হয়ে গেলাম। অবাক হলাম এই কারণে ইউটিউব খুব সামান্য একটা বিষয় এর জন্য কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক দিয়েছে।

মারাত্মক ৫ টি ভুল যার কারনে আপনার ইউটিউব চ্যানেল সাসপেন্ড হতে পারে।

সুপ্রিয় দর্শক আজকে আমি এ আর্টিকেলটি লিখছি কেন জানেন? কারণ লাস্ট 2 দিন আগে আমার একটি ভিডিওর উপরে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক এসেছে। আমি যখন আমার মেইল চেক করলাম কেন স্ট্রাইক এসেছে তখন আমি পুরোপুরি অবাক হয়ে গেলাম। অবাক হলাম এই কারণে ইউটিউব খুব সামান্য একটা বিষয় এর জন্য কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক দিয়েছে। এত ছোটখাটো বিষয় নিয়ে স্ট্রাইক দিলে আগামী দিনে ইউটিউবিং করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে বিশেষ করে নতুনরা অনেক সমস্যায় পড়বে।

কারণ নতুন নতুন যখন ইউটিউবিং করা শুরু করে কেউ তখন তাদের এত পলিসির ব্যাপারে জানা থাকেনা। এই পলিসি গুলি আপডেট করা হয়ে থাকে প্রায়। কিন্তু সব সময় তো আর এত খেয়াল করা হয় না। আমি যেটা দেখলাম এই নতুন পলিসি গুলো  ২০২১/২২ সালে যদি খুব ভালোভাবে ফলো করা না হয় তাহলে ইউটিউব চ্যানেলের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। আমি পলিসি গুলোকে খুব ভালোভাবে পড়লাম মানে আপডেট পলিসি গুলোকে। অনেক পলিসি আছে । এতগুলো পলিসি এর মধ্যে যে পলিসি গুলোকে আমার মনে হয়েছে আমরা সহজেই এই পলিসি গুলো এড়িয়ে যাই অর্থাৎ খুব একটা গুরুত্ব দিই না যার ফলে আমাদের চ্যানেলগুলো ডিলিট হয়ে যেতে পারে বা সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে এমন পাঁচটি পলিসি নিয়ে আজকে আলোচনা করব। তো চলুন তাহলে দেখে নিই কি কি মারাত্মক ভুলের জন্য আপনার চ্যানেলে স্ট্রাইক আসতে পারে।

 

* প্রথম পলিসি হলো হ্যাকিং অর বায়পাসিং পেমেন্ট ফর ডিজিটাল সার্ভিসেস ( Hacking or bypassing payment for digital services)। এই পলিসিতে বলা হচ্ছে যে কম্পিউটার, ইন্টারনেট বা কোন ইনফর্মেশনাল টেকনোলজি ইউস করে যদি কোন কোম্পানির ডাটা, অ্যাপস বা ওয়েবসাইটের পার্সোনাল কোন তথ্য পাচার করা হয় তবে আপনার চ্যানেলে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক আসবে। যেমন, বলা যায় আপনি যদি আপনার চ্যানেলে দেখান কিভাবে ইউটিউব এর ভিডিও ডাউনলোড করতে হয় কোন থার্ড পার্টির ওয়েবসাইট থেকে, ইউটিউব অ্যাপ এর মাধ্যমে না। এ ধরনের ছোটখাট ব্যাপার এর জন্য কিন্তু আপনাকে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক দেয়া হবে। অথবা আরেকটি উদাহরণ দিতে পারি যদি আপনি পে না করে কোন সাইট থেকে ভিডিও কিভাবে দেখা যায় বা কিভাবে তথ্য সংগ্রহ করা যায় ইত্যাদি হ্যাকিং জাতীয় জিনিস গুলো দেখান তাহলে আপনাকে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক দেওয়া হবে। আর এইরকম স্ট্রাইক যদি বারবার আসতে থাকে তাহলে আপনার চ্যানেল টি ডিলিট করে দেয়া হবে বা বন্ধ করে দেয়া হবে। কাজেই খুব সাবধান থাকতে হবে এ ধরনের হ্যাকিং জাতীয় জিনিস গুলো আপলোড দিবেন না।

 

 

* দ্বিতীয়টি হচ্ছে কমেন্ট স্পামিং, রিপেটেটিভ কমেন্ট অ্যান্ড সাইবার বুলিং (comment spamming,repeatative comment and cyber bullying) 

কমেন্ট স্পামিং মানে কারোর ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে এসে নিজের ভিডিওর লিংক পোস্ট করা বা sub for sub কমেন্ট করা বোঝায়। রিপিটেড কমেন্ট বলতে বোঝানো হচ্ছে একই কমেন্ট বার বার করা। অনেকে আছে তার কমেন্টটি নজরে আনার জন্য একই কমেন্ট বারবার করে যায়। এমন করলে আপনার চ্যানেল কমিউনিটি গাইডলাইন ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগে অভিযুক্ত হবে।

এছাড়াও ইউটিউব আরেকটি বড় কথা বলেছে সেটি হলো সাইবার বুলিং। মানে কারোর কন্টেন্ট যদি আপনার পছন্দ না হয় বা সেই ব্যক্তি যদি আপনার পছন্দের ব্যক্তি না হয়  আপনি যদি তাকে হুমকি দেন , গালিগালাজ করেন বা কোনরকম তাকে বুলি করেন তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে বুলিংয়ের অপরাধে স্ট্রাইক আসতে পারে। তাই হুমকি-ধামকি বা গালিগালাজ করা হয় এমন কমেন্ট করা যাবে না।

তাই এক কথায় আমরা বলতে পারি আপনার যদি ভিডিওটি ভাল না লাগে তবে আপনি গালিগালাজ করবেন না , হুমকি-ধামকি দিবেন না ,মেন্টালি টর্চার করা হয় এমন কোন কমেন্ট করবেন না সোজা সেখান থেকে বের হয়ে আসবেন, ডিজলাইক দিবেন।

 

* তৃতীয় পয়েন্ট হচ্ছে ডেঞ্জারাস এন্ড থ্রেটেনিং প্রেঙ্কস অলস ডেঞ্জারাস চ্যালেঞ্জ ভিডিও(Dangerous and threatening pranks also dangerous challenge videos)।

এখন প্রেঙ্কস  চ্যানেলের ওপর ইউটিউব খুব বেশি নজর দিচ্ছে অর্থাৎ খুব বেশি মনিটর করছে এসব চ্যানেল এর উপর। আপনি যদি আপনার চ্যানেলে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উপর মানহানিকর কোন ভিডিও দিয়ে থাকেন বা তাদের শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হয় এমন কোন ভিডিও দিয়ে থাকেন তাহলে ইউটিউব আপনার চ্যানেলের সেইসব কনটেন্টকে রিমুভ তো করবেই সাথে সাথে সতর্ক করে দেবে। আর যদি বারবার এমন ভুল করা হয় তাহলে কোনো আগাম সর্তকতা ছাড়াই আপনার চ্যানেল ডিজেবল করে  দিতে পারে।

সুতরাং যারা এধরনের ভিডিও বানান তারা খুব সাবধান।

ডেঞ্জারাস চ্যালেঞ্জ ভিডিও ( dangerous challenge videos) বলা হচ্ছে এমন ভিডিওগুলোকে যেখানে কোন চ্যালেন্জ দেখানো হচ্ছে। যেসব চ্যালেঞ্জ এর জন্য মানুষের ক্ষতি হতে পারে। ইউটিউব এমন ভিডিওগুলো কে রিমুভ করে দিবে এবং চ্যানেলে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক দিয়ে দিবে।

 

* ৪ নাম্বার যে ভুলটি করা হয় সেটি হচ্ছে ইম্পারসনেশন পলিসি (Impersonation policy)। ইম্পারসনেশন মানে এককথায় নকল করা বা কপি করা। এ পলিসি আবার দুই রকম হয়। চ্যানেল ইম্পারসনেশন এবং পার্সোনাল ইম্পারসনেশন।

আপনি যদি অন্য কারো চ্যানেলের ব্যাকগ্রাউন্ড পিকচার, লুক , প্রফাইল পিকচার ইত্যাদি আপনার চ্যানেলে দিয়ে থাকেন অথবা আপনার চ্যানেল দেখে যদি মনে হয় যে চ্যানেলটা আপনার না তাহলে এটি চ্যানেল ইম্পারসনেশন এর পর্যায়ে পড়বে।

পার্সোনাল ইম্পারসনেশন বলতে বোঝানো হচ্ছে আপনি যদি অন্য কোন ইউটিউবারের ভিডিও বানানোর স্টাইল ফলো করে একই রকম ভিডিও বানান তাহলে তা পার্সোনাল ইনফরমেশন এর পর্যায়ে পড়বে। তাছাড়াও যদি আপনি অন্য কোন চ্যানেলের ডেসক্রিপশন বা ভিডিও ডেসক্রিপশন কপি করেন তাহলে এ ধরনের স্ট্রাইক আসতে পারে। এছাড়াও অন্যের ভিডিও ট্যাগ ,থাম্বেল, লোগো ইত্যাদি কপি করা যাবে না।

তাছাড়া ইউটিউব আরো বলে দিয়েছে চ্যানেলকে কোন বিখ্যাত ব্যক্তির নামে চালিয়ে ওই চ্যানেলকে ওই ব্যক্তির অরজিনাল একাউন্ট হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করা হলে এই পলিসি অনুযায়ী আপনার চ্যানেলকে সতর্ক করে দেয়া হবে ,প্রয়োজনে রিমুভ করে দেয়া হবে।

 

* ৫ নম্বর ভুল টি হচ্ছে ইনএ্যক্টিভ একাউন্ট পলিসি ( Inactive account policy)। এই পলিসিটা আমরা সাধারণত খুব একটা নজর দিই না তবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি আপনার চ্যানেলে ৬ মাস অর্থাৎ বিগত ১৮০ দিন লগইন না করেন তাহলে আপনার চ্যানেলের কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক আসবে। এছাড়াও বলা হচ্ছে আপনি যদি আপনার চ্যানেল থেকে আপলোড করা বন্ধ করে দেন বা অনেকদিন আপলোড না করেন ,অন্যের ভিডিও না দেখেন বা কমেন্ট না করেন তাহলে আপনার চ্যানেল টি সাসপেক্ট করে দেয়া হবে।

ব্যাপারটা একটু ভালো করে বুঝতে চেষ্টা করুন ।আমাদের ক্ষেত্রে সাধারণত যেটা হয় আমরা প্রথম প্রথম যখন ইউটিউব চ্যানেল খুলে থাকি তখন খুব একটা ভিউ আসে না বা সাবস্ক্রাইব হয় না। বেশিরভাগ নতুন ইউটিউবার কিন্তু এই অবস্থায় চ্যানেলে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এরই মধ্যে যদি হঠাৎ কোন ভিডিও উঠে যায় বা ওই ভিডিওর জন্য অনেক সাবস্ক্রাইব চলে আসে তখন তারা আবার উৎসাহ পায় এবং আবার কাজ করতে চায়। কিন্তু অনেক দিন ব্যবহার না করার কারণে ওই চ্যানেলে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক চলে আসতে পারে। তাই এ ধরনের ভুল করা যাবেনা। আপনি যদি ইউটিউব কে পেশা হিসেবে নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে এভাবে ইনএ্যক্টিভ হয়ে বসে থাকলে হবে না আপনাকে কাজ করতে হবে ধৈর্য ধরে।

সম্মানিত পাঠক গন আমার কাছে এই পাঁচটি ভুল খুব মারাত্মক মনে হয়েছে। আরো অনেক পলিসি আছে যেগুলো আপনারা চাইলে ইউটিউবে আপডেট পলিসি থেকে দেখে নিতে পারেন। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি নতুনদের জন্য অনেক উপকারে আসবে। আগামী আর্টিকেলটি পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি ।ধন্যবাদ।